ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চা/ beauty tips
#beauty
সঠিক উপায়ে করুন শ্যাম্পু -
পুজো কাউন্টডাউন তো শুরু হয়েই গেছে। নিজেকে তৈরী করার জন্য হাতে আর সময় খুবই কম বলা যায়। নতুন জামা কেনাকাটার প্রায় বেশিরভাগটাই কমপ্লিট বলা যায়। তার সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি তো চাই ই চাই, বলুন। কিন্তু সমস্যা এক জায়গাতেই, সব নতুন হলেও মানুষ টা তো সেই পুরোনোই। তাই না। তাই এবার আর অপেক্ষা নয়। এই পুজোয় গড়ে তুলুন নিজেকে নতুন এর মতো করে, বানান নিজেকে এবার পুজোর 'তিলোত্তমা'।
প্রতি বছর বিউটিপার্লার-এ গিয়ে আমাদের অনেকেই বেশ একটা মোটা টাকা খরচা করে আসি। কিন্তু আমরা ভুলে যাই এই চক্করে আমরা যে কত্ত কেমিকাল নিজেদের শরীরে প্রবেশ করাই, তার ঠিক নেই।
ফেসিয়াল, ব্লিচিং, ম্যানিকিউর, পেডিকিউর - এই সব এর জন্যই পার্লার-এ বিভিন্ন রকমের কসমেটিক ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। এবং তার বেশি ব্যবহার আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক।
আজ আমরা আলোচনা করব ঘরোয়া কিছু টিপ্স এর কথা, যা আপনি ঘরে বসে সহজেই নিজের ওপর ব্যবহার করে ফেলতে পারবেন।
সঠিক উপায়ে করুন শ্যাম্পু -
রোজকার এই ধুলো দূষণ এর যুগে শ্যাম্পু তো আমরা প্রায় নিয়মিতই করে থাকি। কিন্তু সেটা কি আদৌ সঠিক উপায় হয় শ্যাম্পু করবার? আসলে না।
আমাদের চুলের যত্নে শ্যাম্পু-এর এক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমরা প্রায়ই বলে থাকি 'এই শ্যাম্পুটা ভালো না, এতে আমার খুব চুল উঠে যাচ্ছে'। চুলের জন্য সঠিক শ্যাম্পু নির্বাচনের পাশাপাশি, শ্যাম্পু করার সঠিক উপায়ে টাও জানা প্রয়োজন। তা না হলেই চুল ওঠার মতো বিভিন্ন রকমের সমস্যা শুরু হয়।
●শ্যাম্পু-এ পূর্বে চুলে প্রয়োজন তেল ম্যাসেজ-এর। চুলে খুশকি খুব এ সাধারন ব্যাপার। মাথার স্ক্যাল্প যখন খুব শুস্ক (dry) হয়ে যায়, তখন নখ দিয়ে স্ক্র্যাচ করলে শুকনো চলটা এর মতো উঠে আসে তাকেই খুশকি বলে। সেক্ষেত্রে অয়েল ম্যাসেজ খুব এ উপকারী। যদি শুকনো না হয়ে ভেজা খুশকি হয় তবে সেক্ষেত্রে তেল এর সাথে লেবুর রস (২:১) অনুপাতে
মিশিয়ে চুলে লাগান। দুক্ষেত্রেই তেল হালকা গরম করা জরুরী।
●তেল লাগিয়ে হাতের আঙুল দিয়ে আস্তে আস্তে মাথায় রাব্ করুন। কখনই জোড়ে ঘষবেন না।
মিনিট ১০-১৫ পরে, গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে তা মাথায় জড়ান। পুনরায় ১০-১৫ মিনিট রাখুন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন।
●শ্যাম্পু কখনই সরাসরি চুলে দেবেন না, একটু জল মিশিয়ে নেবেন। মোট তিনবার শ্যাম্পু করুন এবং প্রতিবার চুল ততক্ষণ ধোবেন, যতক্ষণ না পুরো শ্যাম্পু চুল থেকে পুরোপুরি চলে যাচ্ছে।
●চুল পুরোপুরি ধোওয়া হয়ে গেলে চুলকে কন্ডিশনিং করুন। শ্যাম্পুর মত একই ভাবে কন্ডিশনার-এর সাথে সামান্য জল মিশিয়ে তারপরেই তা চুলে লাগান। কন্ডিশনার মাথার ওপরিভাগের চুলে কখনই লাগাবেন না। ঘাড়ের পরের ভাগের চুলে লাগানটাই সঠিক উপায়। মিনিট ২-৩ রেখে তা ধুয়ে ফেলুন।
●সম্পূর্ণরূপে ধোওয়া হয়ে গেলে একটি তোয়ালে চুলে জড়িয়ে নিন। মনে রাখবেন, চুল কখনই জোরে জোরে ঘষবেন না। এতে চুল গোড়া থেকে আলগা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। তোয়ালেটি ভালো করে মাথায় জড়িয়ে রাখুন ও কিছুক্ষণ বাদে খুলে, পাখার নীচে দড়িয়ে চুল শুকিয়ে নিন।
dryer থকলে তারও ব্যবহার করতে পারেন। তবে যতটা স্বাভাবিক নিয়মে করা যায়, ততটাই ভালো।
●চুলের ধরণ অনুযায়ী অল্প হেয়ার সিরাম (hair syrum) লাগাতে পারেন বাইরে বেরোবার আগে। অবশ্য ঘরে থাকলে এর খুব একটা প্রয়োজনীয়তা নেই।
●●মনে রাখবেন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার সবসময় একই ব্য্রান্ডের এবং একই ধরনের হওয়া আবশ্যক। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট কম্পানির dry চুলের shampoo হলে সেই একই কম্পানির dry চুলের conditioner-ই ব্যবহার করুন।
মিশিয়ে চুলে লাগান। দুক্ষেত্রেই তেল হালকা গরম করা জরুরী।
●তেল লাগিয়ে হাতের আঙুল দিয়ে আস্তে আস্তে মাথায় রাব্ করুন। কখনই জোড়ে ঘষবেন না।
মিনিট ১০-১৫ পরে, গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে তা মাথায় জড়ান। পুনরায় ১০-১৫ মিনিট রাখুন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন।
●শ্যাম্পু কখনই সরাসরি চুলে দেবেন না, একটু জল মিশিয়ে নেবেন। মোট তিনবার শ্যাম্পু করুন এবং প্রতিবার চুল ততক্ষণ ধোবেন, যতক্ষণ না পুরো শ্যাম্পু চুল থেকে পুরোপুরি চলে যাচ্ছে।
●চুল পুরোপুরি ধোওয়া হয়ে গেলে চুলকে কন্ডিশনিং করুন। শ্যাম্পুর মত একই ভাবে কন্ডিশনার-এর সাথে সামান্য জল মিশিয়ে তারপরেই তা চুলে লাগান। কন্ডিশনার মাথার ওপরিভাগের চুলে কখনই লাগাবেন না। ঘাড়ের পরের ভাগের চুলে লাগানটাই সঠিক উপায়। মিনিট ২-৩ রেখে তা ধুয়ে ফেলুন।
●সম্পূর্ণরূপে ধোওয়া হয়ে গেলে একটি তোয়ালে চুলে জড়িয়ে নিন। মনে রাখবেন, চুল কখনই জোরে জোরে ঘষবেন না। এতে চুল গোড়া থেকে আলগা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। তোয়ালেটি ভালো করে মাথায় জড়িয়ে রাখুন ও কিছুক্ষণ বাদে খুলে, পাখার নীচে দড়িয়ে চুল শুকিয়ে নিন।
dryer থকলে তারও ব্যবহার করতে পারেন। তবে যতটা স্বাভাবিক নিয়মে করা যায়, ততটাই ভালো।
●চুলের ধরণ অনুযায়ী অল্প হেয়ার সিরাম (hair syrum) লাগাতে পারেন বাইরে বেরোবার আগে। অবশ্য ঘরে থাকলে এর খুব একটা প্রয়োজনীয়তা নেই।
●●মনে রাখবেন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার সবসময় একই ব্য্রান্ডের এবং একই ধরনের হওয়া আবশ্যক। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট কম্পানির dry চুলের shampoo হলে সেই একই কম্পানির dry চুলের conditioner-ই ব্যবহার করুন।
ফেসিয়াল -
চুলের পরপরেই কথা আসে মুখের। 'মুখ' আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ আমাদের first impression কিন্তু আমাদের মুখ থেকেই পাওয়া যায়। তাই মুখমন্ডল যত মসৃণ ও ঝক্ঝকে-তক্তকে হবে তাতে সৌন্দর্যের পরিমাণ অনেক গুণ বেড়ে যায়।
নীচে কয়েকটি পদ্ধতির উল্লেখ করা হল :
●●সর্বপ্রথম নিজের ত্বকের ধরন (skin type) অনুযায়ী সঠিক ফেস ওয়াশ নির্বাচন করাটা খুবই দরকার। মুখের যত্ন নেওয়ার প্রথম ধাপ মুখ পরিষ্কার করা।
শুষ্ক ত্বক বা dry skin-এর জন্য মধু (honey), দুধ (milk), ঘৃতকুমারী (aloe vera) based ফেস্ ওয়াশই ব্যবহার করুন। অর্থাৎ যা আপনার মুখকে নরম রাখতে সাহায্য করবে।
●তৈলাক্ত ত্বক বা oily skin-এর জন্য নিম (neem), তুলসী (tulsi), হলুদ (turmeric), চন্দন (chandan) - based ফেস ওয়াশই ব্যবহার করুন। অর্থাৎ যা আপনার মুখ থেকে অতিরিক্ত তেল ধুয়ে মুখকে পরিষ্কার করে রাখতে সাহায্য করবে।
●● মনে রাখবেন আপনার ত্বক যেমনই হোক না কেন, কখনোই মুখে সাবান ব্যবহার করবেন না। এই গেল মুখ পরিষ্কার রাখার প্রথম ধাপ।
●● মুখ স্ক্র্যাব করা হলো মুখ পরিষ্কাররের দ্বিতীয় ধাপ। রোজকার ধুলো দূষণে অনেক নোংরা বা dirt কোষের মধ্যমে আমাদের ত্বকে প্রবেশ করে, যা আমাদের ত্বকের শ্বাসপ্রশ্বাসে (skin breathing) বাধা প্রদান করে এবং কোষগুলোকে বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া সূর্যের তাপে আমাদের ত্বকে ট্যান পড়ে - যার ফলে আমাদের ত্বককে স্ক্র্যাব করা খুবই প্রয়োজনীয়। স্ক্র্যাব আমাদের ত্বকের মৃতকোষ বা dead cell তুলে দিয়ে নতুন কোষ গড়ে, নোংরা বা dirt দূর করে ও ট্যান রিমুভ করে। ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও পরিষ্কার।
●শুষ্ক ত্বক বা dry skin - এর জন্য :
৪-৫ টা আমন্ড (almond) গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ মধু (honey)
২ টেবিল চামচ আরগন তেল (argan oil)
*আরগন তেল না থাকলে জলপাই তেল (olive oil) ব্যবহার করা যাবে।
--সমস্ত সামগ্রী একটি কাঁচের বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। এরপর অল্প অল্প করে হাতের সাহায্যে সারা মুখে এবং গলায় লাগিয়ে সার্কুলার মোশনে মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসেজ কখনই জোরে চেপে হবে না, ম্যাসেজ হবে সর্বদা হাল্কা হাতে।
২ মিনিট এভাবে ম্যাসেজ করার পর ঘরের normal জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে ও একটি পিরিস্কার তোয়ালে দিয়ে 'pat dry' বা হালকা হাতে জল মুছে ফেলতে হবে।
●তৈলাক্ত ত্বক বা oily skin -
১ টেবিল চামচ কফি (coffee)
১/২ টেবিল চামচ লেবুর রস (lemon juice)
খুব ব্রণ থাকলে লেবুর রস কম করে দিয়ে (২-৩ ফোঁটা) বাকিটা গোলাপ জল মেশালেও হবে।
একই ভভাবে সামগ্রীগুলো একটি কাঁচের বাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে, মিশ্রণটা মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে, ২ মিনিট মাসাজ করে, জল দিয়ে মুখ ধুয়ে, তোয়ালে দিয়ে মুখ শুকনো করতে হবে।
●● স্ক্র্যাব এর পরেই সাথে সাথে দরকার ত্বককে ম্যাসেজ করা। স্ক্র্যাব করার ফলে আমাদের ত্বকের কোষগুলো উন্মুু্ক্ত হয়ে পরে।
তাই তাতে পুনরায় দ্রুত ময়লা প্রবেশ করে যায়। তাই তার সঠিক যত্ন ওই সময়টাতেই করা উপকারী।
ম্যাসেজ এর জন্য শশার একটি গোল করে কাটা টুকরো নিন আর সারা মুখে ও গলায় ভালো করে rub করুন সার্কুলার মোশনা। এভাবে ৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন।
শশা সব রকমের ত্বকের জন্য suitable এবং ত্বককে ঠাণ্ডা রাখতেও সাহায্য করে।
●● স্ক্র্যাব এর পর চতুর্থ ধাপ ফেস প্যাক লাগানো।
ফেস প্যাক এর জন্য প্রয়োজন -
২ চামচ বেসন
১ চামচ গ্রীন টি এর জল ও
২ চিমটে হলুদ
-- প্রথমে সমস্ত উপকরণ গুলিকে একটি কাচের বাটিতে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ঘন হলে আপনার তা লাগাতে সুবিধা হবে। তাই গ্রীন টি জল বুঝে পরিমাণ মতোই দিন। মেশানো হলে অল্প অল্প করে নিজের হাতের সাহায্যে সারা মুখ ও গলায় লাগাতে হবে। যাদের ড্রাই স্কিন তারা একটু মধু মিশিয়ে নিন।
১৫ মিনিট এভাবে রেখে তারপর ভালো করে প্যাকটি ধুয়ে ফেলুন। ও শুকনো তোলে দিয়ে মুছে ফেলুন।
এখন আপনি নিজেই আগের থেকে এখনকার আপনার ত্বকের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
●মধু দেওয়ার কারণ যাদের শুস্ক ত্বক বেসন লাগলে তাদের ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই সেক্ষত্রে মধু ত্বককে নরম রাখে বা skin nourish করে।
●● শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ত্বকের ময়শ্চরাইজ করা।
সম্পূর্ণ ফেসিয়াল এর পর ত্বক পুনরায় সজীব ও সতেজ হয়ে ওঠে। টক তখন নতুন কোষ গড়ে, বন্ধ কোষগুলিকে খোলে। তাই এই সময় হালকা তেল যা ত্বকের natural oil বেরিয়ে আসে। এই সময় খুব oily বা তৈলাক্ত moisturizer না লাগিয়ে নরমাল স্কিন টাইপ এর ময়শ্চরাইসার-ই লাগান।
যাদের ওয়েলী স্কিন তারা অয়েল ফ্রী ক্রিম ব্যবহার করুন। র যাদের ড্রাই স্কিন তারা নর্মাল ফেস ক্রিম ব্যবহার করুন।
● এই ধরণের ফেসিয়াল মূলতঃ রাতের দিকেই করুন। ঘুমের সময় আমাদের স্কিন relaxed বা শান্ত হয়ে থাকে। তাতে আপনার স্কিনের ট্রিটমেন্ট যথাযত হয়।
● যাদের স্কিন খুব dry তারা রাতে শোয়ারআগে aloe vera gel লাগিয়ে শুন।
●এই ধরণের ঘরোয়া ফেসিয়াল মাসে ২-৩ করলে কোনো সমস্যা হয় না।
●শুষ্ক ত্বক বা dry skin - এর জন্য :
৪-৫ টা আমন্ড (almond) গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ মধু (honey)
২ টেবিল চামচ আরগন তেল (argan oil)
*আরগন তেল না থাকলে জলপাই তেল (olive oil) ব্যবহার করা যাবে।
--সমস্ত সামগ্রী একটি কাঁচের বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। এরপর অল্প অল্প করে হাতের সাহায্যে সারা মুখে এবং গলায় লাগিয়ে সার্কুলার মোশনে মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসেজ কখনই জোরে চেপে হবে না, ম্যাসেজ হবে সর্বদা হাল্কা হাতে।
২ মিনিট এভাবে ম্যাসেজ করার পর ঘরের normal জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে ও একটি পিরিস্কার তোয়ালে দিয়ে 'pat dry' বা হালকা হাতে জল মুছে ফেলতে হবে।
●তৈলাক্ত ত্বক বা oily skin -
১ টেবিল চামচ কফি (coffee)
১/২ টেবিল চামচ লেবুর রস (lemon juice)
খুব ব্রণ থাকলে লেবুর রস কম করে দিয়ে (২-৩ ফোঁটা) বাকিটা গোলাপ জল মেশালেও হবে।
একই ভভাবে সামগ্রীগুলো একটি কাঁচের বাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে, মিশ্রণটা মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে, ২ মিনিট মাসাজ করে, জল দিয়ে মুখ ধুয়ে, তোয়ালে দিয়ে মুখ শুকনো করতে হবে।
●● স্ক্র্যাব এর পরেই সাথে সাথে দরকার ত্বককে ম্যাসেজ করা। স্ক্র্যাব করার ফলে আমাদের ত্বকের কোষগুলো উন্মুু্ক্ত হয়ে পরে।
তাই তাতে পুনরায় দ্রুত ময়লা প্রবেশ করে যায়। তাই তার সঠিক যত্ন ওই সময়টাতেই করা উপকারী।
ম্যাসেজ এর জন্য শশার একটি গোল করে কাটা টুকরো নিন আর সারা মুখে ও গলায় ভালো করে rub করুন সার্কুলার মোশনা। এভাবে ৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন।
শশা সব রকমের ত্বকের জন্য suitable এবং ত্বককে ঠাণ্ডা রাখতেও সাহায্য করে।
●● স্ক্র্যাব এর পর চতুর্থ ধাপ ফেস প্যাক লাগানো।
ফেস প্যাক এর জন্য প্রয়োজন -
২ চামচ বেসন
১ চামচ গ্রীন টি এর জল ও
২ চিমটে হলুদ
-- প্রথমে সমস্ত উপকরণ গুলিকে একটি কাচের বাটিতে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ঘন হলে আপনার তা লাগাতে সুবিধা হবে। তাই গ্রীন টি জল বুঝে পরিমাণ মতোই দিন। মেশানো হলে অল্প অল্প করে নিজের হাতের সাহায্যে সারা মুখ ও গলায় লাগাতে হবে। যাদের ড্রাই স্কিন তারা একটু মধু মিশিয়ে নিন।
১৫ মিনিট এভাবে রেখে তারপর ভালো করে প্যাকটি ধুয়ে ফেলুন। ও শুকনো তোলে দিয়ে মুছে ফেলুন।
এখন আপনি নিজেই আগের থেকে এখনকার আপনার ত্বকের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
●মধু দেওয়ার কারণ যাদের শুস্ক ত্বক বেসন লাগলে তাদের ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই সেক্ষত্রে মধু ত্বককে নরম রাখে বা skin nourish করে।
●● শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ত্বকের ময়শ্চরাইজ করা।
সম্পূর্ণ ফেসিয়াল এর পর ত্বক পুনরায় সজীব ও সতেজ হয়ে ওঠে। টক তখন নতুন কোষ গড়ে, বন্ধ কোষগুলিকে খোলে। তাই এই সময় হালকা তেল যা ত্বকের natural oil বেরিয়ে আসে। এই সময় খুব oily বা তৈলাক্ত moisturizer না লাগিয়ে নরমাল স্কিন টাইপ এর ময়শ্চরাইসার-ই লাগান।
যাদের ওয়েলী স্কিন তারা অয়েল ফ্রী ক্রিম ব্যবহার করুন। র যাদের ড্রাই স্কিন তারা নর্মাল ফেস ক্রিম ব্যবহার করুন।
● এই ধরণের ফেসিয়াল মূলতঃ রাতের দিকেই করুন। ঘুমের সময় আমাদের স্কিন relaxed বা শান্ত হয়ে থাকে। তাতে আপনার স্কিনের ট্রিটমেন্ট যথাযত হয়।
● যাদের স্কিন খুব dry তারা রাতে শোয়ারআগে aloe vera gel লাগিয়ে শুন।
●এই ধরণের ঘরোয়া ফেসিয়াল মাসে ২-৩ করলে কোনো সমস্যা হয় না।
● ম্যানিকিউর এবং পেডিকিউর -
হাত এবং পায়ের যত্ন আমাদের মুখের যত্নের মতো একই রকমের গুরুত্বপূর্ণ যত্ন। তবে আমরা বেশিরভাগই এই দুটো জায়গাকেই উপেক্ষা করে চলে যাই, আর বিশেষত পা কে তো আরো বেশি। হাতে নেইলপলিশ তো সবাই পরে, ব্যাস ওই অবধিই। কিন্তু পায়ের তো বোধহয় সেটুকুও হয় না। সেটা কেউ করে না সময়ের অভাবে, আর কেউ কেউ গুরুত্বহীন ভযাবে বলে। তবে জানেন কি, হাত-পা পরিষ্কার থাকলে আপনার সৌন্দর্য কতগুন বেড়ে যায়। কার ভাল লাগে ওই নোংরা হয়ে থাকা পা বা হাত। এবার পুজোয় আর দেরি না করে, এটাও ঘরোয়া উপায়ে ঝক্ঝকে-তকতকে করে ফেলুন।
● ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর -
--সর্বপ্রথমে নখে পরে থাকা পুরোনো নেইল পলিশ তুলে ফেলুন।
--নেইল কাটার এর সাহায্যে নখ প্রয়োজনমত কেটে ফেলুন।
(যেই shape-এ আপনি কাটতে চান)।
একই সাথে ফাইল দিয়ে ঘষে নখের মাথাগুলি সমান করে নিন।
--নখের সার্ফেস যদি খুব অসমান থাকে বাফার এর সাহায্যে তা মসৃণ করুন। দরকার না থাকলে করবেন না।
--এবার একটি ছড়ানো গামলায় বেশ খানিকটা হালকা গরম জল নিয়ে, তাতে নুন ও শ্যাম্পু মিশিয়ে প্রথমে আপনার হাত দুটি এবং তারপর পা দুটিও ডুবিয়ে রাখুন ৫-৬ মিনিট এর জন্য করে।
(পা যদি খুব বেশি নোংরা থাকে সেক্ষেত্রে ওই জলেই ২ চামচ লেবুর রস দিয়ে দিন, খোসাটাও জলেই রেখে দিন, আর তারপর তাতে পা ডুবিয়ে রাখুন। পায়ের জন্য সময়টা একটু বেশি নিলেই ভালো হয়)।
--৫-৬ মিনিট পরে হাত ও পা একে একে জল থেকে তুলে নিয়ে তা ফুট ব্রাশ দিয়ে হালকা হাতে ঘষে নিন।
(ফুট ব্রাশ ঘরে না থাকলে পুরোনো টুথ ব্রাশ আসে করুন)।
--এবার জল দিয়ে ধুয়ে, একটা পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে শুকনো করে মুছে ফেলুন।
--এবার সাথে সাথে নখের নিচের দিকে যে চামড়া থাকে বা cuticle থাকে তা নখ দিয়ে নিচের দিকে ঠেলুন বা push করুন।
--এবার হাতে ও পায়ে ভালো করে ক্রিম লাগান ও হালকা মাসাজ করে নিন।
(ক্রিম যে কোনো নরমাল কোল্ড ক্রিম বা লোশন লাগালেই যথেষ্ট।)
(ম্যাসেজ হাতের ক্ষেত্রে আঙ্গুল থেকে পুরো হাত এবং পায়ের ক্ষেত্রে পুরো ফুট এই করুন)।
--২-৩ ম্যাসেজ হলে শুকনো তোয়ালেতে হাত ও পায়ের ক্রিম একে একে মুছে ফেলুন ও নখে base coat পরে নিন।
--এবার আপনার ইচ্ছে মতো পছন্দের রঙের নেইল পলিশ নির্বাচন করুন ও নিজের হাত ও পা- কে সাজিয়ে তুলুন।
●● মনে রাখবেন, নেইল পলিশ সবসময় ২ কোট করে পড়বেন। প্রথম coat শুকানোর পরই দ্বিতীয় coat টি পড়বেন। এবং ওপরে টপ কোট টি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
●● জলে নুন ব্যবহার করলে আপনার নখে যদি আগে থেকে হয়ে থাকা কোনো ক্ষত বা infection থাকে, তবে সেক্ষেত্রে নুন অ্যান্টিসেপ্টিকের কাজ করে।
●● বেস্ কোট আপনার নখকে সূর্যরশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। এবং নখের অমসৃণতাকে সম্পূর্ণ ঢেকে দেয়।
এটা সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতি। তাই সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একদিন করে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করুন। এতে আপনার নখও ভালো থাকবে। আর ম্যাসেজ এর ফলে শরীরে ব্লাড সার্কুলেশনও সঠিক থাকবে। আর তৃতীয়ত আপনার হাত পা সুন্দর ঝকঝকে থাকার পাশাপাশি টাকার সেভিংসটাও হয়ে যাবে।
ঘরোয়া ভাবে নিজের যত্ন নিন, ঘরে তৈরী খাবার খান নিয়মিত একটি করে ফল খান, জল বেশি পান করুন, আপনি সহজেই সুন্দর হয়ে উঠবেন।
★ পুজোর কটা দিন ব্যাগে কয়েকটা ব্যান্ড-এইড রেখে দিন। নতুন জুতো পরে পা কেটে গেলে কাজে লাগবে।
(পা যদি খুব বেশি নোংরা থাকে সেক্ষেত্রে ওই জলেই ২ চামচ লেবুর রস দিয়ে দিন, খোসাটাও জলেই রেখে দিন, আর তারপর তাতে পা ডুবিয়ে রাখুন। পায়ের জন্য সময়টা একটু বেশি নিলেই ভালো হয়)।
--৫-৬ মিনিট পরে হাত ও পা একে একে জল থেকে তুলে নিয়ে তা ফুট ব্রাশ দিয়ে হালকা হাতে ঘষে নিন।
(ফুট ব্রাশ ঘরে না থাকলে পুরোনো টুথ ব্রাশ আসে করুন)।
--এবার জল দিয়ে ধুয়ে, একটা পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে শুকনো করে মুছে ফেলুন।
--এবার সাথে সাথে নখের নিচের দিকে যে চামড়া থাকে বা cuticle থাকে তা নখ দিয়ে নিচের দিকে ঠেলুন বা push করুন।
--এবার হাতে ও পায়ে ভালো করে ক্রিম লাগান ও হালকা মাসাজ করে নিন।
(ক্রিম যে কোনো নরমাল কোল্ড ক্রিম বা লোশন লাগালেই যথেষ্ট।)
(ম্যাসেজ হাতের ক্ষেত্রে আঙ্গুল থেকে পুরো হাত এবং পায়ের ক্ষেত্রে পুরো ফুট এই করুন)।
--২-৩ ম্যাসেজ হলে শুকনো তোয়ালেতে হাত ও পায়ের ক্রিম একে একে মুছে ফেলুন ও নখে base coat পরে নিন।
--এবার আপনার ইচ্ছে মতো পছন্দের রঙের নেইল পলিশ নির্বাচন করুন ও নিজের হাত ও পা- কে সাজিয়ে তুলুন।
●● মনে রাখবেন, নেইল পলিশ সবসময় ২ কোট করে পড়বেন। প্রথম coat শুকানোর পরই দ্বিতীয় coat টি পড়বেন। এবং ওপরে টপ কোট টি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
●● জলে নুন ব্যবহার করলে আপনার নখে যদি আগে থেকে হয়ে থাকা কোনো ক্ষত বা infection থাকে, তবে সেক্ষেত্রে নুন অ্যান্টিসেপ্টিকের কাজ করে।
●● বেস্ কোট আপনার নখকে সূর্যরশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। এবং নখের অমসৃণতাকে সম্পূর্ণ ঢেকে দেয়।
এটা সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতি। তাই সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একদিন করে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করুন। এতে আপনার নখও ভালো থাকবে। আর ম্যাসেজ এর ফলে শরীরে ব্লাড সার্কুলেশনও সঠিক থাকবে। আর তৃতীয়ত আপনার হাত পা সুন্দর ঝকঝকে থাকার পাশাপাশি টাকার সেভিংসটাও হয়ে যাবে।
ঘরোয়া ভাবে নিজের যত্ন নিন, ঘরে তৈরী খাবার খান নিয়মিত একটি করে ফল খান, জল বেশি পান করুন, আপনি সহজেই সুন্দর হয়ে উঠবেন।
★ পুজোর কটা দিন ব্যাগে কয়েকটা ব্যান্ড-এইড রেখে দিন। নতুন জুতো পরে পা কেটে গেলে কাজে লাগবে।
আপনার লেখাটি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে।এই রকম আরো বিউটি টিপস বিষয়ক আর্টিকেল লিখলে সবাই উপকৃত হবে।
ReplyDelete