মাছেও বিষ!




     'মাছে ভাতে বাঙালি' এই বহু প্রাচীন উক্তিটি কে  প্রথম করেছিলেন আমরা তা জানি না, কিন্তু উক্তিটি সর্বৈব সত্য।
     খাবার পাতে মাছ না পরলে সেদিন যেন সব খাবারই ফিকা।
     তা সে মাছ হতে পারে ভাজা বা সরষের ঝাল, হতেপারে টকদই দিয়ে আবার শুধু লঙ্কা আর টমেটো দিয়ে। আর তা কাতলা কিংবা রুই, পার্শে কিংবা ইলিশ হলে তো কথাই হবে না, একেবারে জমে যাবে ভুরি ভোজ।
     বাঙালি মানেই তো মাছ, মানে মাছ এর পরিপূরক বাঙালি বা বাঙালির পরিপূরক মাছ।

     কিন্তু আজ সেই মাছেই বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক বিশেষ অসাধু ব্যাবসায়ী কিছু টাকার লোভে এই কাজ করছে, যার ফল সরূপ আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত  পারি।
     আমরা সকলেই কাটাপোনা মাছের বড় ভক্ত। যা মূলত আমদানি করা হয় অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। কিন্তু এখানেই লুকিয়ে আছে আসল স্বত্ব, যে আমরা রোজ আমাদের প্রিয়জনদের খাবারের সাথে মুখে তুলে দিচ্ছি বিষ, যার রাসায়ানিক নাম 'ফর্মালিন', যা খেলে ক্যান্সার হতে পারে মানুষের।

     সূত্রের  অনুসারে বিহারে গত সোমবার থেকেই  নিষিদ্ধ করা হল অন্ধ্র প্রদেশে থেকে আমদানিকৃত  মাছ। শুধু বিহার নয় পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা পূর্ব ভারতেই এই মাছ আমদানি করা হয় যার মধ্যে পাওয়া গেছে ফর্মালিন নামক এক রাসায়ানিক।
     বিহার সরকারের দাবি, অন্ধ্র থেকে পোনা মাছ চালান কারবার সময়ে ব্যবহার করা হয় এই ফরমালিন নামক রাসায়নিক। দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যা থেকে হতে পারে ক্যান্সার।পশ্চিমবঙ্গেও এই অন্ধ্রের  মাছ আমদানি করা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ মৎস‍্য নিগম-এর তরফ থেকে এর নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি যে এই আমদানিকৃত মাছে ফরমালিন নেই।
নিগমের তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে  চাহিদার প্রায়  ৫ - ৬ শতাংশ অন্ধ্র থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। সেই মাছে ফরমালিন দেওয়া আছে কিনা এখনো তেমন কোনো অভিযোগ মেলেনি। তাই এখনো এই মাছ নিষিদ্ধ করবার কোনো প্রশ্ন উঠছে না।
    অপরদিকে বিহার সরকারের দাবি অন্ধ্র প্রদেশ থেকে আসা মাছের নমুনা তে পাওয়া গেছে ফর্মালিন-এর চিহ্ন। প্রতি বছর পর্যায়ে ৬০০০০ মেট্রিক টন মাছ অন্ধ্র প্রদেশ থেকে বিহারে আসত। ২৫ টি  জেলার থেকে ৩৮টি মাছের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, তাতে মিলেছে ফরমালিনের উপস্থিতির চিহ্ন। এমকি পাটনা থেকে মাছের যে নমুনা সংগ্রহ করা হয় তা কলকাতার পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল, তাতে ফর্মালিন ছাড়াও পাওয়া গেছে 'সীসা' ও 'ক্যাডিয়াম' এর মতো ক্ষতিকারক ধাতব পদার্থ, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক।
     এখন প্রশ্ন উঠছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা কিংবা কবে নেওয়া হবে।


টিপস্: মাছ ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে, তাতে নুন ও হলুদ মাখিয়ে ফ্রিজে রাখুন প্রিজারভেটিভ্ এর কাজ করবে।

Comments